Header Ads

Header ADS

তোতা পাখির মতো মুখস্থ করা কথা বললেই সবাই আপন, না বললেই রাগ করে

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন,

যতোদিন তোমার মুখ বন্ধ তোতোদিন তুমি সবার কাছে মিষ্টি,  যখন মুখ খুলবে তখনি নিমপাতা হয়ে যাবেন। এই দুনিয়াতে যে কোন ক্ষেত্রে যে কোন জায়গায় আপনি যান। তেল মারলে সবাই আপন। কারো কথা না শুনেন তেল না মারেন কেউ আপন না। কাজ করে দেন সবাই আপন। কাজ করবেন না কেউ নাই।   সুপারিশ ছাড়া চাকরিও হয়না।হ্যা এখনো মেধাবীদের চাকরি হয়,  তবে সেই হীরার মতো মেধাবী কি ক্লাসের ৫০জনের ৫০জন ই হয়? বাকিরা করে কিছুতো করে।

১)রাজনীতিতে আমরা দল চিনি,  ব্যক্তি দেখে কয়জন ভোট দেই? আমরা ব্যক্তিকে কতটুকু জানি?কতটুকু চিনি?  চিনিতে যাই না। উমুক লোক তুমুক দলের। কাজ শেষ। হয়ে গেলো।  

তাই রাজনীতি করতে লোক দলের মন জয় করতে বেশি আগ্রহী। জনগনের মন কে দেখে?  দলের সিনিয়র নেতার মন জয় করা,  দলের প্রেসিডেন্ট,  নেত্রী এসবের পিছনে যতো লম্বা লাইন দেয় জনতাকে তার ১%ও তারা দাম দেয়না। টাকা হলে নমিনেশন তোমার /টিকেট তোমার। তুমি আর কি চাও?

২)এমন কি আজকাল বড় কোন  কিছু হতে গেলেই সেইখানেই সুপারিশ /তেলের বহুল ব্যবহার দেখা যায়।
   
৩)একটা কোম্পানিতে গিয়েছিলাম,  দেখলাম অনেকেই চাকরির জন্য লাইন দিয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছে। নাম বলে লাভ নাই। যাই হোক অনেকে আমার পিতার বয়সী। মনে প্রশ্ন হল তিনি কেন? পরে জানলাম অভিজ্ঞ হলে কিছু সুবিধা আছে তো আমার এক বন্ধুও গিয়েছে।  দেখলাম  বিকালেই সব খবর জানিয়ে দিলো। জয়ী হল কেবল সুপারিশ।
সুপারিশ তেলের আগে সার্টিফিকেট /অভিজ্ঞতা কোন দাম নাই।  তেল চাই। তেলে চলে গাড়ি,  বাড়ি এখন তেলেই চলে মানুষের জীবন।


৪)আমি ফেসবুকে কিছু ফেসবুক গ্রুপ দেখেছিলাম, তারা তাদের গ্রুপের লেখক কবিদের লেখা প্রকাশ করবে,  তবে শর্ত হল সেখানে সারাদিন এক্টিব থাকতে হবে। সাবাইকে ভালো ভালো মন্তব্য করতে হবে।   আমাকে জয়েন করেছিল।  দেখলাম আরে ভাই একদিন গ্রুপে নজর না দিলে পাগল করে তোলে।  আর মন্তব্য করা যেনো  আইনগত কোন কাজ। করতেই হবে।   যাইহোক  তারা চায় আমি তেল মারি। আর আমার যে বন্ধুরা আছে  তাদের সেই গ্রুপে জয়েন করি।  হায়রে।  অবশেষে আমার কোন কবিতাই তাদের ভালো লাগেনি  কবিতা ভালো লাগেনি?  না আমার শুকনো তেল হীন কথা কে জানে?

৫)তেল দিলে অনেকে অনেক খুশি হোন। আবার অনেকে  মাথার উপর এসে লাফালাফি করে।  অনেকে।মানুষকে অপমান করতে খুব পছন্দ করে । এটা মানুষের জন্মগত   শিল্পকলা।

যাই হোক আমি কাউকে তেল মারতে আমার ব্যক্তিগত সময় নষ্ট করতে পারিনা।  ছাত্র জীবন পড়া লেখার দরকার আছে।তাই ফেসবুক বাদ দিলাম। সপ্তাহে একবার বা দুইবার  লগ ইন করি।

আমাকে একটা গ্রুপে সাহিত্য সম্পাদক করে একটা পোস্ট দিয়েছিল।  সেই তেলের অভাব। তাই তারা আমার উপর খুব রাগ। 
ভাই আমার ব্যক্তিগত জীবন আছে। আমার মাথায় অনেক চাপ। সংসারে বড় ছেলে হলে কি যুদ্ধ করতে হয় তারা জানে। 
  যারা পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে,  আমার এতো কাজ আর এতো কর্তব্য রেখে আমি ফেসবুকে,  গ্রুপে,  ব্লগে তেল মালিশ করে 
কারো সিমপেথি অর্জন করবো আমি তেমন মানুষ না।  আমার দরকার নাই তেমন সুনাম আর সিমপেথি।   কারো কাছে দয়া ভিক্ষা চাইনা। বাছতে চাই মাথা উচু করে। আমি রাজনীতি দলের নেতা নই তেল আমার।কাছে একেবারে ই নাই 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.