বিয়ের সময় এলেই পাত্র/পাত্রীর অভাবে ভোগেন কেন মাতা পিতারা?
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন,
কথায় আছে রাস্তায় নামলে ছেলে মেয়ের অভাব নাই , বিয়ে করাতে যাও তো পাত্র নাই পাত্রী নাই। রাস্তা কেন? পার্ক, হাসপাতালে, কলেজে, ভার্সিটির ক্যাম্পাস, অবিবাহিত ছেলে মেয়েদের অভাব নাই। অথচ এই পিতা মাতা যখন বিয়ের আয় হাতে নেয় তো তার সন্তান আস্তে আস্তে বুড়া হয়ে যায় তবু জীবনসঙ্গী পায়না। কেন পায়না? যাই হোক দুই একটা কাহিনী বলি মজা পাবেন আবার দুঃখ আপনার ইচ্ছা ।
১) আমাদের এক ভাই আছে, তিনি একদিন এক কাহিনী শুরু করলেন, কাহিণী হল তার এক বন্ধুর বিয়ে ঠিক হয়েছে। ভাইয়ের নাম ধরুন সালাম। আচ্ছা মেয়েটি সালাম ভাইয়ের অফিসেই চাকরি করে। তারা হিন্দু, । তো তার বন্ধু ধরুন অতিষ , বললো দোস্ত মেয়ে দেখা শেষ তুই একটু তার কিছু তথ্য আমাকে এনে দিবি? আচ্ছা ভালো কথা তোর বিয়ে. তো মেয়ের সম্পর্কে যা তথ্য দিলো, । মেয়ের সাথে এংগ্যাজমেন্ট হয়ে গেলো। পরে একদিন সালাম ভাই অঅফিসের আরেক লোকের সাথে কথা বলছে ভাই ওমুকের বিয়ে ঠিক হইছে আমার বন্ধুর সাথে। ওই লোকে প্রশ্ন করে, আপনি ঠিক বলছেন? যে আপনার বনধুর সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছে? সালাম ভাই বললো হ্যা। ওই লোক বললো আপনারা কত সালে এস এস সি? ভাই বললো ২০০৩। ওই লোক বলে আরে মেয়ে ১৯৯৩এ এস এস সি । এতোদিন বিয়ে হচ্ছিলো না। পাত্র পছন্দ হয়না তাই। সালাম ভাই ভাবলেন মজা করতেছে। পরে ওই লোক তার এস এয়া সি সার্টিফিকেট এর কপি যেটা অফিসে দেয়া ওইটা সহ ভোটার কার্ড এনে দেখালেন।সবাই তো চমকে গেছে এতক্ষণে এত সুন্দর মেয়ে আর এতোদিনেও বিয়ে হয়নি?
ওইযে সমস্যা একটাই মেয়ে ৫ফি ৭ইঞ্চি। কোন ছেলে পছন্দ হয়না। তাই বিয়ে হয়নি। আর এই অতিষ কে পছন্দ হয়নি তবু এখন বয়স চলে যাচ্ছে তাই বিয়ে ঠিক হয়ে যায়। আর তারা বলেছিল মেয়ে ছেলের ৩বছরের ছোট। যা কিনা সত্য হল মেয়ে ১০ বছরের বড়। যাই হোক বিয়েটা আর হয়নি। ছেলের কথ হল সম্পর্ক শুরুই হলনা এতো বড় মিথ্যা কথা বলেছে। আর মিথ্যার উপর কিসের সম্পর্ক।
২) আমাদের এলাকার এক বড় ভাই ছিল।, সে দেখতে ভালো চেহাড়া। বাবা ধনী ছিলো। বি এ পাস করে। তার ও একটাই অবস্থা কোন পাত্রী পায়না। তো ১০বছর পাত্রী দেখার পর এই লোক বয়সে বড় আর ডিবোর্সি এক মেয়েকে বিয়ে করে। তো আমাদের এলাকার এক লোক তার কাজ হল মানে হাসি মজা করা। সে এই হিরো পাত্রকে বলে জানস তোর বউ এমন কেন? কারন তুই ১০ বছরে কত ভালো মেয়েকে পছন্দ হয়নি বলে রিজেক্ট করেছিস? তার কোন হিসাব আছে? নাই আরে তারা সবাই সুন্দর ছিল।আর তার পরেও তুই বিয়ে করস নাই । সব মেয়ের অভিশাপ লাগছে তোর লায়ে। এইটা ওই লোক মজা করে বলেছে। তার ইচ্ছা। আসল কথা হল লোকে এতো পাত্রী দেখে কি শান্তি পায় কে জানে?
৩) এক লোক নাম কালাম(ছদ্ম) তার বন্ধুরা সব বিয়ে করে ফেলেছে। অথচ তার বিয়ে হয়না। কারন সে বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক। আবার তার পাত্রীও পছন্দ হয়না। আর যে পাত্রী সে পছন্দ করে, তখন পাত্রীর বাবা মা তাকে পছন্দ করেনা। কারন বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক। চাকরির কোন নিশ্চয়তা নাই। সে অবশেষে ৪২বছর বয়সে একটা বিয়ে করে। কে জানে হয়তো পাত্রীর বাবা মার পছন্দ হলেও তার বউ তাকে পছন্দ করেনি। কালাম সাহেবের বউ এক সন্তান রেখে পালিয়ে গেলো। আরো কেটে গেলো ৭বছর তার পর আরেকটা বিয়ে করলো।
এখন সে বুঝলো সুন্দর সুন্দর করে হাজার পাত্রী না দেখে সময় মত বিয়ে করলে বউ ও যাইতো না। সংসার টাও ঠিক থাকতো।
আর তার সকল বন্ধুদের সন্তান একেক জন ভালো বড় হয়ে গেছে। তার বয়স ৫০।সন্তান কেবল ৮, ২। এখন আফসোস করে।তাও আবার প্রথম সন্তান বিকলাঙ্গ হয়েছে। কেন? আমি ডাক্তার নই থাকলে বুঝিয়ে বলতাম।
ঘটনা হল,
৪)) আমাদের এলাকার স্কুলের এক মেডাম ছিল। তার ঠিক এমন ই এতো সুন্দর আর ভালো ছিলো যে বলার নাই। তবে তিনি ৪৭ বছর বয়সেও পাত্র পায়না। কেন? তার পছন্দ তো বাবা মার পছন্দ না। বাবা মার পছন্দ তো তার পছন্দ না।
অনেক কলেজের শিক্ষক , আর পুলিশের এ এস পি ডাক্তার এসেছে। তার কারো সাথেই বিয়ে হয়নি। কারন পছন্দ হয়না।
অবশেষে হয়েছিল। ঘটনা সেটা না।
৫) আমরা এইটা বাসায় থাকতাম। পাশের এক আন্টি থাকতো তার একটা ছেলেও ছিল।১০ বছর বয়স। তিনিও শিক্ষিত। তো তার বিয়ে হলেও তার বড় বোনের বিয়ে হয়নি। কারন কি? এই কাউকে পছন্দ হয়না। যতো শিক্ষা মিললে পরিবার মিলেনা। পরিবার মিলে ছেলের শিক্ষা ভালো পেশা ভালো হলে, দেখা যায় ছেলে খাটো। মেয়ে বেশি লম্বা। আহ কেটে গেল ৯ বছর। অবশেষে বিয়ে হল। সত্য বলতে আমি কিভাবে জানি ঘটনা চক্তে সেই বিয়েতে হাজির। জানতাম না এটা উনার ই বিয়ে। পড়ে দেখি পাত্র তো কম কয়স লাগে। এতো লম্বাও না । তাওলে এতো দিন যে বললো পাত্রী লম্বা লম্বা পাত্র ছাড়া বিয়ে দিবে না। পাত্র উচ্চ বংশের হতে হবে। উচ্চ শিক্ষিত হতে হবে। এখন তারা
নিজেদের শর্ত এমন করেই ভুলে গেলো? কেন? তাও আবার বয়সে ৩,৪ কম পোলার। আহারে। সময় মতো বিয়ে দিলে কি খারাপ ছিল।
উপসংহার ---আমাদের বাবা মা রা অনেক সময় বেশি লোভ করে। তারা পাত্র চায় সালমান খান। আর পাত্রী কারীনা কাপুর, দিপিকা। এটা করতে গিয়ে খায় ধরা। আর কিছু লোক তো পাত্রী না রোবট খোঁজে।
১) পাত্রীর গূন থাকবে, রূপ থাকবে, টাকা ওয়ালা বাবা থাকবে, ডিগ্রি থাকবে, রান্নাও জানে এমন থাকবে।
নিজেত ছেলে কেমন সেটা না চিন্তা করেই।
২) পাত্র ভদ্র থাকবে, দেখতে লম্বা থাকবে, শিক্ষিত, বড় চাকরি, অবশ্যই বিসি এস ক্যাডার বা ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হতেই হবে। বেসরকারি চাকরি চলবেনা। থাওকেও বড় অফিসার হতে হবে। দেখতে সালমান খান। টাকায় আম্বানী, টাটা। আর চরিত্র থাকবে একেবারে শুদ্ধ দেশী ঘির মতো।নিজের মেয়ে কেমন সেটা বড় কথা না।
বি দ্রষ্টব্য ঃ সব লেখার মতো আমার এই লেখাকে আপনি কোন নজরে দেখবেন আপনার ইচ্ছা। এটা রম্য রচনাও হতে পারে। আবার সিরিয়াস লি নিতেও পারেন। আপনার মনের উপর নির্ভর করবে। আমি বলবো স্বাভাবিক ভাবাই নিন। মজা নিন বা শিক্ষা নিন। পজেটিভ চিন্তা করুন।
আপনার মেয়ে ছেলের বয়স বেশি হলেই তারা কোন কেটরিনা কে আনতে পারবে না। বা সালমান আসবে না আপনার জামাই হতে। শুধু শুধু আপনারা একটা ভয় ফেলে দিয়েছেন বাজারে পাত্র পাত্রী নাই। আর লোভ করা ছেড়ে দিন। বাচুন মানুষের মতো বাচুন। লোভ মানুষকে অন্তরের ভিতর থেকে মেরে দেয়।
বিজ্ঞান বলে ঃ মেয়ের বয়স বেশি হলে মা হতে গেলে তার অনেক সমস্যা হতে পারে। আর আপনার পোলা যদি স্পার্ম ধ্বংস করে ফেলে বিভিন্ন উপায়ে। ভাই শেষ বয়সে আপনি আপনার ছেলেকে বিয়ে তো করাবেন নাতী নাতনী দেখতে পাবেন না। কারন ডাক্তার আপনার ছেলেকে বলবে আপনি বাবা হতে পারবেন না।
১)আসুন জেনে নেই গর্ভধারণ ও সন্তান জন্মদানের গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়
২০ থেকে ২৪ বছর মা হওয়ার জন্য ২০ থেকে ২৪ বছর হচ্ছে উপযুক্ত সময়। তবে মা হওয়ার জন্য ৩০ বছর পর্যন্ত তেমন ঝুঁকি থাকে না। তবে ৩০ বছরের পরে ঝুঁকি বাড়তে থাকে। এছাড়া ৩৫ বছরের পরে মারাত্মক ঝুঁকির শঙ্কা রয়েছে।
একটি মেয়ে জন্মের সময়ই কিছুসংখ্যক ডিম্বাণু নিয়ে জন্মায়, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিঃশেষ হতে থাকে। ৩০ বছরের পর থেকেই ডিম্বাণুর সংখ্যা এবং গুণগত মান কমতে থাকে। এ সময় গর্ভধারণ করার চেষ্টার পরও দিনের পর দিন ব্যর্থ হতে পারে। বয়সের কারণে ওজন বৃদ্ধি ও শারীরিক স্থূলতাও গর্ভধারণে বাধার সৃষ্টি করে। বেশি বয়সে সন্তান গর্ভে ধারণ করলে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস, গর্ভকালীন উচ্চ-রক্তচাপ, হরমোনগত সমস্যা কিংবা বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাসহ বিভিন্ন কারণে গর্ভধারণের সম্ভাবনা কম থাকে।
বেশি বয়সে পিতৃত্ব আরও বড় সমস্যা তৈরি করে সন্তান প্রতিপালনের ক্ষেত্রে। সাধারণভাবে একজন মানুষের আয় বেশি থাকে ৩৫ থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে সন্তানকে বড় করে তোলা আর্থিক দিক থেকে সহজ। তাছাড়া, বেশি বয়সে সন্তান মানে ছেলেমেয়ের সঙ্গে বয়সের ফারাকটাও বেড়ে যাওয়া। আর সেই ফারাক মানসিক দূরত্ব তৈরি করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাবা হওয়ার ক্ষেত্রে একটা হিসেব মাথায় রাখা উচিত যাতে ৫৪ বছর বয়সের মধ্যে প্রথম সন্তান গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করতে পারে। সেই হিসেবে ৩৩ বছর বয়সটাই বাবা হওয়ার জন্য উপযুক্ত সময়। তবে শেষ সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, প্রত্যেকের ব্যক্তিগত পরিস্থিতি বিবেচনা করে।
সমস্যা আরো আছে]
আপনি বয়সে বড় হলেন। বয়স ৪২,৪৫ ভাই আর আপনাকে দেখতে আংকেল আংকেল লাগে। আপনার বউ ২০। তো কি হবে জানেন অনেক মেয়ে এরকম অবস্থায় পরিবারের চাপে বিয়ে তো করে কাকুর কয়সী বরকে। তবে তাকে মেনে নিতে পারেনা। আর অনেকে তো পলায়ন করে প্রেমিকের সাথে। যারা যায়না তারা কিছু তো করে। আর সংসার এর শান্তি আসে না। সং এক জায়গায় তো সার আরেক জায়গাতে। মানে আপনার জীবনে আপনি কিছু পাবেন না। আর মেয়েটাও ধোকে ধোকে মরে । ভালোবাসা বলেনা সেটাকে। সেটা পরিবার সমাজ এর জেলখানা। অনেকে সেই জেলখানায় কয়েদি হয়ে থাকে। আবার অনেক মেয়ে পালিয়ে যায়। কি করবে? হুম? সমাজ একটা আসলেই জেল খানা। কলেজে প্রেম করে একজনের সাথে বাবা বিয়ে দেয় দিগুন এর চাইতেও বেশি বয়স এর পুরুষের সাথে। আজকের ২০১৮ তে এসেও এই সময়েও এমন হয় ? কেন? আপনি আপনার সন্তানকে সময় মতো বিয়ে দেননি তাই।
আপনার মেয়েকে কম বয়সী ছেলের কাছে কেন বিয়ে দিতে হয়? কারন আপনার ভুলের জন্য। বংশ মিলতে, সরকারি চাকরি, আবার সালমান খান মার্কা আর বডি বিল্ডার জামাই। আর পোলার জন্য ব্লা ব্লা।পাত্রী ভালো চাই, রান্না জানতে হবে, পড়া লেখায় আবার ফাস্ট ক্লাস, পাত্রী চাকরি করলে আরো ভালো, মেয়ের বাবা আবার সম্পদের মালিক হতে হবে ভাই যে মেয়ে লাখ পতির মেয়ে সে আবার শিক্ষিত তাকে দিয়ে আপনি আবার চুলা গুতাবেন। ছি। এতো লোভ ভালো না এটা আমার কল্পনা নয় সম্প্রতি এক এমন ই একজন আন্টির সাথে দেখা যেনি তার ছেলের জন্য পাত্রী খুঁজে পাগল প্রায়। আমি তার কাছেই জানলাম আমাদের সমাজে এমন অনেক লোক পেয়েছি তারা
যা চায় সেই অনুযায়ী তাদের ঘরে বউ কম একটা করে রোবট চাই, সুফিয়া রোবট অথবা রাজনীকান্ত রোবট ২ দরকার কিছু লোক তো সরকারি চাকরি ছাড়া মেয়ে বিয়েই দিতে চায়না। কেউ কেউ বলে আমার মেয়ের জন্য এস পি জামাই চাই অথবা প্রফেসর। তারা জানেনা কলেজে প্রফেসর কোন যুবক থাকেনা। লেকচারার বললে হয়তোবা ভেবে দেখা যায়। আম্বানি জামাই চাই আর সে হতে হবে ইমানদার, নেক, শাশুড়ি কে খুব দেখবে বুড়া হয়ে গেলে। ভাই মানুষের হাতে লাখ টাকাও থাকবে আবার সে খুব শান্ত থাকবে দুইটা এক চাওয়াটা বেশি হয়ে গেলো না?
কোন মন্তব্য নেই