Header Ads

Header ADS

সার্টিফিকেট তো ফাইলবন্দী হয়ে যাবে, চরিত্র, কাজের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা কাজে দিবে




 জীবনে আমরা অনেক সারর্টিফিকেট অর্জন করি৷  এই সারর্টিফিকেট দরকার আছে৷ এটা আপনার দপ্তরিক পরিচয়। আপনি ভালো মানুষ কিনা,  আপনার জীবনের রেকর্ড কেমন? সব জানতে লাগে চারিত্রিক সারর্টিফিকেট,  ছাড়পত্র,  ইউনিয়ন এর নাগরিক সনদপত্র।  এই জিনিসপত্র গুলো আপনার কাগজি পরিচয়। আপনাকে এসব অর্জন করতে যত টুকু কষ্ট করতে হয় তার চাইতে দশ গুন কষ্ট লাগবে ভালো অভিজ্ঞতা, ভালো দক্ষতা অর্জন করতে। আপনি সাজেশন পড়ে ভালো রিজাল্ট অর্জন করতে পারবেন। ইউনিয়ন, পৌরসভা তে টাকা দিয়ে ফিস পরিশোধ করে চারিত্রিক সার্টিফিকেট আনতে পারবেন।  তবে বাস্তবে যে জ্ঞান থাকে তা টাকা দিলে পাওয়া যায়না।       বাস্তব জ্ঞান আপনি ব্যক্তিগত জীবনে,  কর্মজীবন থেকে সংগ্রহ করবেন।  জীবন আপনাকে যা শিক্ষা দিবে তাতে আপনি কেমন মানুষ,  কেমন চরিত্রবান,  আপনি কোন কাজে দক্ষ তা বুঝতে পারা যাবে। এসব আপনার দৈনন্দিন জীবনে ফুটে উঠবে। আর এই জিনিস গুলোই আপনার সম্পদ,  আপনি ডাক্তার হয়েছেন, তবে রাজনীতি শুরু করে ১০ বছর হল  কোন রোগী দেখেন না । কোন হাসপাতালে বসেন না। তারপর আপনি নেতা হয়ে গেছেন। এখন আপনি শুধুই নামে ডাক্তার। শুধু এম বি বি এস পাস। আপনি পুলিশে  কাজ শুরু করেছেন। ১৬বছর হল এম বি বি এস পাস করে সারর্টিফিকেট নিয়ে আর কোন কাজ নাই। তাহলে ওইটা শুধুমাত্র ফাইল বন্দী সারর্টিফিকেট     
১) আপনি কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে অনার্স করেছেন। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে। কোন ব্যবহারিক জ্ঞান নাই।  খুব কম।  সারর্টিফিকেট আছে অনার্স /সম্মান শ্রেণী। চাকরি নিয়েছেন  গোয়েন্দা সংস্থাতে লাখ টাকা দিতে মামুর বিরিয়ানী খেয়ে। মামুর বিরিয়ানী বুঝেন নাই, ঘুস দিয়ে আরকি    তো আপনার দক্ষতা ওইখানেই আত্মহত্যা করেছে। চাইলেই আপনি দক্ষ  কম্পিউটার প্রকৌশলী হতে পারতেন। তাহলে কি বুঝলেন সারর্টিফিকেট কোথায় গেলো? সরকারি দপ্তরে। সরকারি মোটা ফাইলে আটকে গেলো আপনার সারর্টিফিকেট     

২)অনেল লোক আছে কম্পিউটারে কোন সার্টিফিকেট নাই। তারপরেও কাজ করে এমন যেনো কোন বড় ডিগ্রী নিয়ে বসে আছে। আসলে তার কাজ তাকে এই বাস্তব সারর্টিফিকেট দিয়েছে। এটা কোন ফাইলে বন্দী হবে না৷ মরনের আগ পর্যন্ত সাথে থাকবে।

৩)অনেক শিক্ষিত লোক আছে     আমাদের সমাজে, তাদের আচরণ এতো খারাপ যে তাদের আমরা কুকুরের সাথে তুলনা করে ফেলি সময়ের প্রয়োজনে।যদিও তারা অনেক বড় প্রতিষ্ঠান (ভার্সিটি) হতে ডিগ্রিধারী ও হয়।  তারা আচরণের দিক থেকে নিচু মানের           
৪) আবার অনেক লোক আছে যারা বড় ডিগ্রিধারী নয়৷ আবার অশিক্ষিত ও নয়। তবে তাদের আচরণ উচ্চ মানের হয়   
৫)আমাদের কর্মক্ষেত্রে এমন লোক ও পেয়ে থাকি যে,  সে সারর্টিফিকেট অনুযায়ী একটা বিভাগে আছে। সরকার তাকে নিয়োগ দিয়েছে, ধরুন ককম্পিউটার ট্রেনিং অফিসার হিসেবে। হায় দেখা যায় তার ডিপ্লোমা সারর্টিফিকেট আছে। অথচ সে ইমেইল আইডিও খুলতে পারেনা। সে ভালো টাইপিং জানে না,  সে কম্পিউটার সম্পর্কে ১০%জ্ঞান ও রাখেনা   , তার মানে এই যে তার সারর্টিফিকেট আছে,  তবে সে দক্ষনা। তার দক্ষতা নাই।  বাস্তব জ্ঞান নাই।  পাঠ্যবই পড়েছে হয়তো। সে সাইকেল কিভাবে চালাতে হয় এই বই  মুখস্ত করেছে,  সাইকেল ধরেনি     

আমাদের জীবনে সারর্টিফিকেট দরকার আছে। পড়ালেখার দরকার আছে।  পাঠ্যপুস্তক দরকার আছে।  তার সাথে সাথে যেটা বেশি দরকার
সেটা হল বাস্তবতা। জীবনে বাস্তবিক জ্ঞান,  বাস্তবিক আচরণ, বাস্তব অভিজ্ঞতা।  ওই ইউ পি চেয়ারম্যান বা সিটি কর্পোরেশন হতে দেয়া চারিত্রিক সার্টিফিকেট নয়। বাস্তব জীবনে চলতে বাস্তব অভিজ্ঞতা ও ভালো অভিজ্ঞতা ভালো চরিত্র  থাকা চাই       
শিক্ষা যেনো শুধু মুখস্ত বিদ্যা না হয়।  মনের ভিতরে থাকে।     

 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.