আদর্শ যার যার, দল সবার। এটাই রাজনীতি
রাজনীতিতে একটা কথা আছে, রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কোন কথা নাই। আর নেতাদের বিশেষ কোন আদর্শ নাই। আগে আমি মনে করতাম যে যারা ডানপন্থী তারা বামে যায়না । মানে যারা ধর্মীয় রাজনীতি করে তারা বামদের সাথে একত্রে রাজনীতি করবেনা। আর যারা বাম পন্থী যারা সমাজতন্ত্র মানে তারা ডানপন্থীদের সাথে যাবে না। যারা গণতন্ত্রবাদী তারা আরেক রকম। এখন সেই দিন নাই। একজন নেতা তার কাপড় পাল্টানোর মতোই দল পাল্টায়। আর আগের দল ছেড়ে যে দলে যাচ্ছে সেই দলের আদর্শ তার বিপক্ষের ই হোক না কেন। তা সে দেখেনা। যার তার সাথে জোট গড়ে তোলে। আসল কথা হল ক্ষমতা। নীতি, আদর্শ বলতে কিছু যদিও থাকে সেটা দল পরিবর্তন করার সাথে সাথে পরিবর্তন হয়। দল পরিবর্তন তো নেতার আদর্শ পরিবর্তন
১)একজন ডানপন্থী নেতা ছিল। আমি জন্মের পর থেকেই এই লোককে একরকম এই রকম দেখেছি। জাতীয় পার্টি করতো। ২০১৩ সালে সে দল পরিবর্তন করলো। কারন সে কোনদিন বিজয়ের মালা গলায় ঝুলাতে পারেনি। এইজন্য সে এরশাদ সাহেবের দল থেকে পল্টি মেরে দল পরিবর্তন করলেন । আর তিনি নিজেকে এলাকার ধর্মনিরপেক্ষ আওয়ামীলীগ কর্মী বলে ঘোসনা দিলেন।
নোট এক বড়ভাই বলেছিল, এই দল ত্যাগকারী নেতাদের দলে নেয়া যে কত বড় বিপদ তা বলার মতো নয়, এরা নামে দল ত্যাগ করে। আর।দলের নামে নানান কুকর্ম করে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করে। কথাটা ১০০%সত্য। আওয়ামীলীগ যেসব দল ত্যাগকারী নেতাদেএ নিজ দলে নিয়েছে। এরাই তার কোন কাজের না। বরং বিপদ একদিন না একদিন সেটা তারা বুঝবে।
২)আমাদের দেশে অনেক বামপন্থী নেতা আছে এরা এলাকায় বড় দলে জায়গা না পেলে সেসব দলের পদের জায়গা দখল করে রাখে। আমি জাতীয় পর্যায়ের চেনাজানা নেতাদের কথা বলছিনা। তৃণমূল এলাকার কথা। জাতীয় নেতারাই যেখানে আদর্শ দল ত্যাগ করে। সেখানে
জেলা, থানা কি কোন ব্যাপার? আমাদের নেতারা এই পল্টিবাজি খুব ভালো পারে। বামপন্থী রা আওয়ামীলীগ এ খুব প্রবেশ করে আর সুযোগে সময়ে তারা আবার বের হয়েও যায়। এদের পক্ষে প্রেস মিডিয়াকে পাওয়া যায়। তাই তারা খুব জেগে উঠে মাঝে মাঝে
৩) জোট গঠন ““ বাংলাদেশে দলের নেতারা দলেই থাকেনা। তো জোট তো সাধারণ কথা। তাহাদের ক্ষমতার দরকার হলে, যে কাউকে তাদের সাথে মাঠে নামিয়ে দেয়। নিজেদের কর্মী অভাব হলেও অন্য দলের কর্মী আনতে তারা যার তার সাথে জোট গড়ে তোলে। ১৫ „২০দল নিয়ে একটি জোট গঠন করলেও বেশির ভাগ দলের ই থাকেনা পূর্ণ কমিটি। কিছু তো মনে হয় (One man army)
,এক দল এক নেতা ।
৪)আমাদের দেশের বেশিরভাগ নেতাই জানেনা, একজন সাধারণ জনতার অধিকার , আঈন, আইনের বিচার, একজন সামরিক বাহিনীর লোকের সাথে মিলবেনা। তারা দেশদ্রোহী হলে যে কোর্টমার্শাল করা হয়। আর সেটা ভয়ংকর না হলে যে সকল সেনা সদস্য বিদ্রোহ করবে এই জিনিস তারা বুঝেও না বুঝার অভিনয় করে। তাই এসব নিয়ে তাদের খুব চর্চা। একটা দল ই আছে। যাক আর গভীরে না যাই।
৫) আসল কথা তো এইটা। যে তারা কোন দলের না। কোন মতের না। তাদের কিছু কিছু লোকের কোন আদর্শ নাই। তারা নদীর পানির মতো। প্রবাহিত হতেই থাকে।
৬)আমাদের ব্লগেও অনেক দল কানা অন্ধ লোক দেখতে পাই। তাহারা যাদের এতো ভালো আর মহান ভাবেন তাদের নিজেদের ই কোন স্থায়ী আদর্শ নাই। আর আমাদের শ্রদ্ধেয় ব্লগার গন তাদের নিয়ে অনেক অনেক গভেষণা করেন। যার কোন ভিত্তি আমি দেখতে পাইনা।
তারা কেবল দলপ্রেমীক। আমার মতে কিছু ব্লগার দল মত নির্বিশেষে থাকার দরকার ছিলো। আফসোস আমাদের সিনিয়র বড় ব্লগার গুলো এতো দল কানা। বলার নাই। তারাও ওই নেতাদের মতো। সারাদিন নানান ইনিয়ে বিনিয়ে এক দলকে মহান বানাতে ব্যাস্ত। আর দলের প্রধানকে তারা ফেরেস্তা বানাতে সদা তৎপর। তাদের মিশন ওই একটাই।
৭) আগের দিনে রাজা, মহারাজাগণ নাকি রাজদরবারে রাজ লেখক পালন করতেন। এই লেখকদের কাজ একটাই ছিল। রাজার মন রক্ষা করা। রাজার নামে ভালো ভালো লেখা কাহিণি লেখা। ইতিহাস বইয়ের নামে যা তা লেখা। মিথ্যা বলেনি আমার স্যার। বাদশা আকবরের সভাকক্ষে ও এমন একজন চাটুকার দার্শনিক ছিল। একটা কবিতা আছে। সবাই জানেন। শিক্ষা গুরুর মর্যাদা, এই ঘটনাটা নাকি পুরাটাই মিথ্যা।
৮) আদর্শ যার যার, দল সবার। দল যাই হোক। মত যাই হোক। নমিনেশন টিকেট পেলে সবাই আমার। এখন চিত্রটা এমন হয়ে গেছে,। বড় দলের, ভালো দলের ব্যানারে নিজের ছবি সবাই দেখতে চায়। নিজেকে ছোট, পরিচয়হীন দলের নেতা হিসেবে কেউ পরিচয় দিতে চায়না। আজকাল জামাত নেতারাও দলের স্টিকার কপাল থেকে মুছে ফেলতে ব্যস্ত। তেনারা বিভিন্ন দলে মোটা অংকের ডোনেশন দিয়ে নিজেদের পরিচয় পাল্টাচ্ছে। আর সবাই জানে জামাতের নেতারা দেশে অনেক শিক্ষা চিকিৎসা ব্যবসার সাথে জরিত অনেক আগের থেকেই। কোচিং ব্যবসা, ভার্সিটি ব্যবসা, হাসপাতাল, এসব অনেক ব্যবসা যেহেতু তাদের আছে। এবং কি তাদের কোচিং গুলো বিখ্যাত পণ্য / Brand। তাদের এই ব্যবসায়ীরা টাকার শক্তিতে পরিচয় পাল্টাবেই।
১)একজন ডানপন্থী নেতা ছিল। আমি জন্মের পর থেকেই এই লোককে একরকম এই রকম দেখেছি। জাতীয় পার্টি করতো। ২০১৩ সালে সে দল পরিবর্তন করলো। কারন সে কোনদিন বিজয়ের মালা গলায় ঝুলাতে পারেনি। এইজন্য সে এরশাদ সাহেবের দল থেকে পল্টি মেরে দল পরিবর্তন করলেন । আর তিনি নিজেকে এলাকার ধর্মনিরপেক্ষ আওয়ামীলীগ কর্মী বলে ঘোসনা দিলেন।
নোট এক বড়ভাই বলেছিল, এই দল ত্যাগকারী নেতাদের দলে নেয়া যে কত বড় বিপদ তা বলার মতো নয়, এরা নামে দল ত্যাগ করে। আর।দলের নামে নানান কুকর্ম করে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করে। কথাটা ১০০%সত্য। আওয়ামীলীগ যেসব দল ত্যাগকারী নেতাদেএ নিজ দলে নিয়েছে। এরাই তার কোন কাজের না। বরং বিপদ একদিন না একদিন সেটা তারা বুঝবে।
২)আমাদের দেশে অনেক বামপন্থী নেতা আছে এরা এলাকায় বড় দলে জায়গা না পেলে সেসব দলের পদের জায়গা দখল করে রাখে। আমি জাতীয় পর্যায়ের চেনাজানা নেতাদের কথা বলছিনা। তৃণমূল এলাকার কথা। জাতীয় নেতারাই যেখানে আদর্শ দল ত্যাগ করে। সেখানে
জেলা, থানা কি কোন ব্যাপার? আমাদের নেতারা এই পল্টিবাজি খুব ভালো পারে। বামপন্থী রা আওয়ামীলীগ এ খুব প্রবেশ করে আর সুযোগে সময়ে তারা আবার বের হয়েও যায়। এদের পক্ষে প্রেস মিডিয়াকে পাওয়া যায়। তাই তারা খুব জেগে উঠে মাঝে মাঝে
৩) জোট গঠন ““ বাংলাদেশে দলের নেতারা দলেই থাকেনা। তো জোট তো সাধারণ কথা। তাহাদের ক্ষমতার দরকার হলে, যে কাউকে তাদের সাথে মাঠে নামিয়ে দেয়। নিজেদের কর্মী অভাব হলেও অন্য দলের কর্মী আনতে তারা যার তার সাথে জোট গড়ে তোলে। ১৫ „২০দল নিয়ে একটি জোট গঠন করলেও বেশির ভাগ দলের ই থাকেনা পূর্ণ কমিটি। কিছু তো মনে হয় (One man army)
,এক দল এক নেতা ।
৪)আমাদের দেশের বেশিরভাগ নেতাই জানেনা, একজন সাধারণ জনতার অধিকার , আঈন, আইনের বিচার, একজন সামরিক বাহিনীর লোকের সাথে মিলবেনা। তারা দেশদ্রোহী হলে যে কোর্টমার্শাল করা হয়। আর সেটা ভয়ংকর না হলে যে সকল সেনা সদস্য বিদ্রোহ করবে এই জিনিস তারা বুঝেও না বুঝার অভিনয় করে। তাই এসব নিয়ে তাদের খুব চর্চা। একটা দল ই আছে। যাক আর গভীরে না যাই।
৫) আসল কথা তো এইটা। যে তারা কোন দলের না। কোন মতের না। তাদের কিছু কিছু লোকের কোন আদর্শ নাই। তারা নদীর পানির মতো। প্রবাহিত হতেই থাকে।
৬)আমাদের ব্লগেও অনেক দল কানা অন্ধ লোক দেখতে পাই। তাহারা যাদের এতো ভালো আর মহান ভাবেন তাদের নিজেদের ই কোন স্থায়ী আদর্শ নাই। আর আমাদের শ্রদ্ধেয় ব্লগার গন তাদের নিয়ে অনেক অনেক গভেষণা করেন। যার কোন ভিত্তি আমি দেখতে পাইনা।
তারা কেবল দলপ্রেমীক। আমার মতে কিছু ব্লগার দল মত নির্বিশেষে থাকার দরকার ছিলো। আফসোস আমাদের সিনিয়র বড় ব্লগার গুলো এতো দল কানা। বলার নাই। তারাও ওই নেতাদের মতো। সারাদিন নানান ইনিয়ে বিনিয়ে এক দলকে মহান বানাতে ব্যাস্ত। আর দলের প্রধানকে তারা ফেরেস্তা বানাতে সদা তৎপর। তাদের মিশন ওই একটাই।
৭) আগের দিনে রাজা, মহারাজাগণ নাকি রাজদরবারে রাজ লেখক পালন করতেন। এই লেখকদের কাজ একটাই ছিল। রাজার মন রক্ষা করা। রাজার নামে ভালো ভালো লেখা কাহিণি লেখা। ইতিহাস বইয়ের নামে যা তা লেখা। মিথ্যা বলেনি আমার স্যার। বাদশা আকবরের সভাকক্ষে ও এমন একজন চাটুকার দার্শনিক ছিল। একটা কবিতা আছে। সবাই জানেন। শিক্ষা গুরুর মর্যাদা, এই ঘটনাটা নাকি পুরাটাই মিথ্যা।
৮) আদর্শ যার যার, দল সবার। দল যাই হোক। মত যাই হোক। নমিনেশন টিকেট পেলে সবাই আমার। এখন চিত্রটা এমন হয়ে গেছে,। বড় দলের, ভালো দলের ব্যানারে নিজের ছবি সবাই দেখতে চায়। নিজেকে ছোট, পরিচয়হীন দলের নেতা হিসেবে কেউ পরিচয় দিতে চায়না। আজকাল জামাত নেতারাও দলের স্টিকার কপাল থেকে মুছে ফেলতে ব্যস্ত। তেনারা বিভিন্ন দলে মোটা অংকের ডোনেশন দিয়ে নিজেদের পরিচয় পাল্টাচ্ছে। আর সবাই জানে জামাতের নেতারা দেশে অনেক শিক্ষা চিকিৎসা ব্যবসার সাথে জরিত অনেক আগের থেকেই। কোচিং ব্যবসা, ভার্সিটি ব্যবসা, হাসপাতাল, এসব অনেক ব্যবসা যেহেতু তাদের আছে। এবং কি তাদের কোচিং গুলো বিখ্যাত পণ্য / Brand। তাদের এই ব্যবসায়ীরা টাকার শক্তিতে পরিচয় পাল্টাবেই।
কোন মন্তব্য নেই